শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার অটোরিকশা চালক মোশাররফ(৪০) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও মূল খুনিসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ১৬ মার্চ রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আলমগীর হোসেন (২৫) ও সহযোগী নূরুল ইসলাম (৬৪) কে গ্রেপ্তার করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ।
১৭ মার্চ (রোববার) দুপুরে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম (পিপিএম) তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুরো ঘটনার বর্ণনা করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর হোসেন নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি গ্রামের আ. জব্বারের ছেলে ও নূরুল ইসলাম একই উপজেলার কালাকূমা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সুপার জানান, আসামি আলমগীর ও নিহত অটোরিকশা চালক মোশাররফ পূর্ব পরিচিত ছিল। আলমগীর ট্রাক্টর চালক। সে বেশকিছু টাকা ঋণ করে ঢাকায় চলে গিয়েছিলো। সেখানেই সে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে বাড়ি চলে আসে। গত ১৩ মার্চ রাতে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি বাজার থেকে মোশাররফের অটোরিকশা ভাড়ায় নেয় এবং নির্জন স্থানে নিয়ে নেশা দ্রব্য খাইয়ে মোশাররফকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে আলমগীর পালিয়ে যায়।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে আলমগীর ও পরে তাঁর সহযোগী নূরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ছিনতাইকৃত অটোরিকশা, হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত গামছা, অটোরিকশার ব্যাটারি ও ব্যাটারি বিক্রির টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। আলমগীর পুলিশের কাছে ও আদালতে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম আরও বলেন, ‘অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না। যে কোন মূল্যে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রেসকনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত) খোরশেদ আলম, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া, ডিএসবির ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকে।
0 মন্তব্যসমূহ