কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “ভিজিডির তালিকায় নাম একজনের, চাল তুলছেন আরেকজন” শিরোনামসহ বেশ কয়েকটি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, উক্ত সংবাদটি আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
২০২৩-২৪ চক্রের ভি ডব্লিউ বি কর্মসূচির আওতায় অত্র নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সকল উপকারভোগির মোট ২০ জনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পরিবর্তন কারন হিসেবে অনেকেই চলমান ইউজিসি কমসূচি অন্তর্ভুক্ত,২০১৯-২০ ভিজিডি ভোগী, রেশন কার্ড ভোগী, স্বচ্ছল পরিবার, স্থান পরিবর্তন সহ বিভিন্ন কারণে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের সম্মতি ক্রমে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং উক্ত বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিক অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের সাক্ষরিত, দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে ও সাক্ষরিত রেজুলেশন বইয়ের মাধ্যমে সঠিক উপকার ভোগীর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। আলোচিত ৪৩ নাম্বার ভিডব্লিউবি সুবিধাভোগী তালিকা থেকে মিনা, স্বামী শ্রীমুদ্দি নামের পরিবর্তে মোছা: আনজু বেগম, পিং- মো: এনতাদুল হক কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে তিনি ৩০ কেজি করে মোট ৭ বস্তা চাল উত্তোলন করেছেন মর্মে সুবিধাভোগীী নিজেই স্বীকার করেছেন।
উক্ত ২৩-২৪ চক্রের ভিডব্লিউবি কর্মসূচি কোনো ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি সম্পৃক্ততা ছিল না, কে বা কারা আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন, যেটি কিনা আমাদের ১নং নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের তথা আমার ইমেজ ক্ষতিসাধন করেছেন,
উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাম্প্রতিক বন্যায় আমার ইউনিয়নে রাস্তাঘাট ও ব্রিজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, এতে করে যেমন এলাকার মানুষের হচ্ছে চলাচলে দুর্ভোগ, তেমনি পোহাতে হচ্ছে বাড়তি বিলম্বনায়। “ফুলবাড়ীতে হস্তান্তরের কোন দিনের মাথায় ভাঙলো সেতু” শিরোনাম সহ বিভিন্ন অনলাইন ও পত্র-পত্রিকায় ঠিকাদার হবিবর রহমানের জায়গায় আমাকে জুড়ে দিয়ে এবং নিম্নমান কাজের অজুহাত জুড়ে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্পূর্ণ কাজ ঠিকঠাক ভাবে বুঝে নিয়ে ঠিকাদারকে বিল প্রণয়ন করেছেন এবং সেটি তার বক্তব্যে তিনি পরিষ্কার করেছেন। সেটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ইতোমধ্যে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার কে অবহিত করেছি এবং উনি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এখন নির্বাহী প্রকৌশলীর পরে এখন কি সাংবাদিক ভাইদের প্রজেক্ট চেক করার জন্য নতুন কোন আইন বা বিধান আছে কিনা আমার জানা নেই। আর দশ ফিট কালভার্ট কিভাবে সেতু হয় সেটিও আমার জানা নেই। আমি যতদূর জানি ৩০ ফিটের নিচে কোন সেতু হয় না।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো হাছেনআলী বলেন, দুর্নীতি করিনা ও দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয়ও দেই না।
তাই নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ কে কলঙ্কিত করতে এবং সামাজিকভাবে আমার মান ক্ষুন্ন করতে উক্ত প্রকাশিত সকল সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
0 মন্তব্যসমূহ