বিশেষ প্রতিনিধিঃঃ ফিলিস্তিন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের বিদ্যুৎ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়া গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউয়াব গ্যালান্ত। সেখানে খাবার, বিদ্যুৎ, গ্যাস সরবরাহ সবকিছুই বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
সোমবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউয়াব গ্যালান্ত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, 'হামাস অধ্যুষিত গাজার সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে কোনো বিদ্যুৎ, খাবার, পানি ও গ্যাস থাকবে না, সব বন্ধ থাকবে।'
'হিংস্র পশুর মতো' মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের এই অবরোধকে বর্ণনা করেছেন গ্যালান্ত। তবে, এই ঘোষণার আগে থেকেই গাজা উপত্যকায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। ২০০৭ সাল থেকে এই অবরোধ চলছে। যার ফলে এ অঞ্চলের দুই লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে ভুগছেন। এ ছাড়া, চিকিৎসা সেবা ও ওষুধেরও অপ্রতুলতা রয়েছে সেখানে।
এদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের অ্যাম্বাসেডর গিলাদ এরদান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, জাতিসংঘের একটি বৈঠকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়। তবে এর পর কী সিদ্ধান্ত এসেছে, তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, শনিবার হামাসের করা একের পর এক রকেট হামলায় এ পর্যন্ত ৮ শতাধিক ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এই হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে ইসরায়েল থেকে গাজায় রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন বৃদ্ধ নাসের ইসরায়েলি হামলায় পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন বৃদ্ধ নাসের
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দুই শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৫১১ ফিলিস্তিনি, আহত ২ হাজারের বেশি। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ৭০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২ হাজারের বেশি আহত হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ