ঢাকা প্রতিনিধি :: বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টাইয় ভবনটিতে আগুন লাগে। ২০তলা রুপায়ন শেলফোর্ড ভবনের ১৮-১৯ তলা থেকে বেরুতে থাকে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি। এসময় ভবনে আটকে পড়ারা মোবাইলের আলো জেলে জানাতে থাকেন উদ্ধারের আকুতি। খবর পেয়ে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসে ফায়ার সার্ভিস। একে একে যোগ দেয় ১৩টি ইউনিট। ল্যাডারের সাহায্যে ভবনটি থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ নারীসহ ২৩ জনকে। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ায়, বেশ কয়েকজনকে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
এক মৃত্যু আর ২৩ জনকে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শ্যামলীর অগ্নিকাণ্ড। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় ২০তলা এই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। ভবনটিতে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্যাংকসহ বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি অফিস থাকলেও এক্সটিংগুইশার ছাড়া আগুন নেভানোর তেমন কোনো ব্যবস্থাই ছিল না।
রাত ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তখনই একজনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ১৯ তলায় থাকা ডাটাসফটের কর্মী ছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে তাঁর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিচ থেকে বিশ তলা পর্যন্ত বিদ্যুৎ, টেলিফোন, এসিসহ নানা কেবলের মাধ্যমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগুন লাগার পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় ভবনটির সামনের সড়কের গাবতলীমুখি লেইন। এতে যানজট দেখা দেয় পুরো মিরপুর রোডজুড়ে। পরে ভোর রাতের দিকে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
0 মন্তব্যসমূহ